কাউখালী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি।
পিরোজপুরের কাউখালীতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক অমল কৃষ্ণ দাস শ্রেণিকক্ষে পাঠদান করতে না পারলেও দীর্ঘদিন ধরে স্বপদে বহাল থেকে সরকারি বেতন ভাতা নিয়মিত উত্তোলন করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানাগেছে, উপজেলার সয়না রঘুনাথপুর ইউনিয়নের ধাবড়ী গ্রামের আব্দুর রহমান সকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক অমল কৃষ্ণ দাস ১৯৮৫ সালের জানুয়ারি মাসে চাকুরিতে যোগদান করেন। সেই সময় বিদ্যালয়টি রেজিষ্টার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্যাটাগরিতে ছিল।
পরবর্তীতে রেজিষ্টার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো একযোগে জাতীয়করণ করা হয়। সেই সুবাধে তিনিও রেজিষ্টার বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক হিসেবে সরকারি সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করেন।
এলাকাবাসী, শিক্ষার্থী ও অভিভাবক সূত্রে জানায়, আব্দুর রহমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক অমল কৃষ্ণ দাস দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। সেই থেকে বাড়ির পাশের বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকলেও অসুস্থতার কারণে নিয়মিত পাঠদান করতে পারেন না। বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে ৭০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। বিদ্যালয়টিতে অসুস্থ শিক্ষক অমল কৃষ্ণ দাস সহ তিন জন শিক্ষক রয়েছে।
এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শ্যামল চন্দ্র জানান, ৬ পদের স্কুলে আমি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছি, এছাড়া একজন শিক্ষক দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ, একজন শিক্ষক পিটিআই প্রশিক্ষণে, আর একজন শিক্ষক মাতৃত্বকালীন ছুটিতে ছিল যারফলে পুরো বছরই তিনি ও অসুস্থ অমল কৃষ্ণ বাবুকে নিয়েই স্কুল পরিচালনা করতে হয়েছে। যারফলে ৫টি শ্রেণিকক্ষে পাঠদান করতে খুবই সমস্যা হচ্ছে। যারফলে শিক্ষার্থীরা সঠিকভাবে শিক্ষা গ্রহণ থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
তিনি আরো জানান, এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করলে ডেপুটেশনে একজন শিক্ষক দেওয়ার আদেশ দিলেও তিনি যোগদান করেন নাই। অসুস্থ শিক্ষক অমল কৃষ্ণ দাস এর সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলতে চাইলে তার ছেরে ফোন রিসিভ করে বাবার অসুস্থতার কথা জানান।
এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ মনিবুর রহমান জানান, অমল কৃষ্ণ বাবু অসুস্থতার কথা শুনেছি। এ ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব।
এ ব্যাপারে কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজল মোল্লা বলেন, বিষয়টি আমার নজরে এসেছে ,তদন্ত সাপেক্ষে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।